গণমাধ্যমের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় ২ জন আটক

Passenger Voice    |    ০৩:১০ পিএম, ২০২২-০১-০৫


গণমাধ্যমের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় ২ জন আটক

বোয়ালখালীতে সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে বিজিবি।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) আহলা করলডেঙ্গা ইউনিয়নের আসাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গাড়ি ভাংচুরের সময় তাদের আটক করা হয়।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুর আহমেদ অনিক  বলেন, গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

আসাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া দিপ্ত টিভির ব্যুরো প্রধান রুনা আনসারী স্থানীয় এক প্রার্থীর রোষানলে পড়েন। পরে ওই ব্যক্তি গিয়ে গাড়ি ভাংচুর করেন বলে স্থানীয়রা জানান।

রুনা আনসারী বলেন, লাইভে দাঁড়ানোর মুহুর্তে এক ব্যক্তি নিজেকে প্রার্থী পরিচয় দিয়ে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরে তিনি রাস্তায় গিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৬টি গাড়ি ভাংচুর করেন।  

এদিকে, এই ইউনিয়নের করলডেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এই কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও বোয়ালখালী থানার ওসি আবদুল করিম ও দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুর আহমেদ অনিক বিষয়টি সত্য নয় বলে জানান।

বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান মো. জিল্লুর রহমান  বলেন, হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ কেউ চিকিৎসা নেননি। এখন পর্যন্ত ১০ জন চিকিৎসা নিয়েছে। যাদের বেশিরভাগই হালকা ক্ষত নিয়ে এসেছেন। আব্দুল্লাহ বিন হারুন নামে এক ব্যক্তির মাথায় আঘাত ছিল। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শাস্তির দাবি সিইউজের

বোয়ালখালীতে সাংবাদিকদের বহনকারী একাধিক গাড়িতে হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)। এক বিবৃতিতে হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম।

নেতারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বোয়ালখালীর করলডেঙ্গায় ভোটকেন্দ্রের সামনে যেভাবে সাংবাদিকদের গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে তা ন্যাক্কারজনক। ভোটকেন্দ্রের সামনে এ ধরনের হামলা দুঃখজনক। । এর দায় হামলাকারীদের প্রশ্রয়দাতা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাসহ প্রশাসনকে নিতে হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।